Wednesday, March 11, 2015

অাহলে হাদিস হওয়ার উপকারিতা

Source LINK 
বর্তমান সময়ের অন্যতম সাংঘাতিক ফেতনার নাম হল অাহলে হাদিস ফেতনা। অামি ব্যক্তিগত ভাবে এদের বিরোধিতা করতাম না। অনেকে কাফের - বিদঅাতি হওয়ার ফতোয়া দিয়েছেন। অামি সামান্য মানুষ, ফতোয়া দেওয়া অামার জন্য সাজেনা। তবে অামি একথা বলতে পারি অাহলে হাদিস হলে কাফের হয়ে যায়না। এটাই এদেশের গ্রহণযোগ্য উলামায়ে কেরামের মত।

তবে এরা যে সাংঘাতিক পর্যায়ের ফেতনাবাজ এতে সামান্যতম সন্দেহের অবকাশ নাই। ওদের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অামি একজন মাযহাবপন্থী লোক হওয়ার পরও অাহলে হাদিসের বদনাম হাসিল করতে হয়েছে।
সাংঘাতিক ওই দলের সাংঘাতিককতার কথা কয়টা বলব। এরা যে ফেতনাবাজ এর সবচেয়ে বড় দলীল হল হাজার বছর ধরে পালিত মাযহাবের বিরুদ্ধাচরণ করে, জগত শ্রেষ্ঠ ইমাম হযরত অাবু হানীফা ও অন্যান্য মাযহাবের ইমামগণকে গালাগালি করে ওরা ইসলামের ভঙ্গুর ঐক্যকে অারো ভঙ্গুর করার জন্য ওঠে পড়ে লেগেছে। কোন দলীল মানেনা যুক্তি মানেনা। বোখারি -মুসলিম ছাড়া অন্য কোন কিতাবও মানেনা। হাদিস বলতেই বুঝে বুখারি - মুসলিম। কত প্রকারে কত দলীল দেওয়া হয় কিন্তু কিছুতেই কিছু মানতে নারাজ। গাল ফুলিয়ে বসে থাকে নিজের মতের ওপর। এটা চরম অহংকার অার বড়ত্বের পরিচয়। হবে না -ই বা কেন? অাহলে হাদিস হলে সর্বপ্রথম অহংকারী গুণে(!) গুণান্বিত হওয়া যায়। দ্বিতীয় যে গুণটা হাসিল হয় তাহল বেয়াদবির সবক হাসিল করা যায়। একেকটা অাহলে হাদিস বেয়াদবির একেকটা বিশ্ববিদ্যালয়। অার গালাগালিতে শেখ হাসিনার চেয়েও বেশি ডিগ্রিধারী। মিথ্যাচারে যেন ষাঁড় জাফরের উম্মত।
অাহলে হাদিস বলে বলে যারা চিত্কার করে গলা ফাটায় অাপনি তালাশ করে দেখুন এদের একটারও চরিত্র নাই। দুশ্চরিত্রতার পক্ষে হয়তো তাদের কাছে কোন দলীল অাছে। হয়তো কোন হাদিস তাদের দুশ্চরিত্রতার পক্ষে দলীল বানিয়ে চালিয়ে দেবে, নাউযুবিল্লাহ।
অাহলে হাদিস হওয়ার অারেকটা লাভ যেটা না বললেই নয়, সেটা হল রমজান মাসের তারাবীহ অাট রাকাত পড়া। যদি মাযহাব মানে তাহলে বিশ রাকাত পড়তে হয়। বলাবাহুল্য অাহলে হাদিস নামধারীরা এই ফায়দার লোভে পড়েই মাযহাব ত্যাগ করে। তাছাড়া অন্যান্য নফল ইবাদত ওদের লাগেনা। ফরজ নামাজ সংশ্লিষ্ট সুন্নাত নামাজসমূহ ওরা অবলীলাক্রমে অস্বীকার করে নতুবা পাশ কাটিয়ে যায়। তারা নফল - সুন্নাত কিংবা বিশ রাকাত তারাবীহেরর কথা হাদিসের মধ্যে পায়না বলে মানেনা। ঠিক অাছে হাদিসে যে একথা অাছে নবীজি সা : নামাজ পড়তে পড়তে পা ফুলিয়ে ফেলতেন সেটা কি তারা পায়না ? পায়, কিন্তু মানেনা। কারণ অাহলে হাদিস সাজার উদ্দেশ্যই হল শরীয়তেরর হুকুম - অাহকামে ফাঁক বের করে বেঁচে যাওয়া।
দুনিয়াতে যত অাস্তিক - নাস্তিক অাছে সকলেই মিথ্যা বলা ঘৃণা করে একমাত্র শিয়া ধর্মের অনুসারী ছাড়া। তারা মিথ্যাচারকে মন্দ মনে দূরে থাক মিথ্যাচারকে তারা সাওয়াবের কাজ বানিয়েছে। কোন প্রকার মিথ্যাচারে কী পরিমাণ সাওয়াব তা তাদের কাছে নির্ধারিত অাছে। এদের সাথে অাহলে হাদিসের দারুণ মিল। দুনিয়াতে মুসলমানদের যত দল উপদল অাছে সকলেই নফল নামাজসমূহকে গুরুত্ব দেয়। একমাত্র অাহলে হাদিস ছাড়া। এদের কাছে ক্ল্যাসিক্যাল সিস্টেমের কিছু ফরজ নামাজ ছাড়া অার কিছুু নাই।
ও, হ্যা ওদের অাবার যাকাত ফরজ হয়না। কারণ তাদের মতে টাকা পয়সা এগুলো কাগুজে মুদ্রা এর ওপর যাকাত ফরজ হয়না। কারণ হাদিস শরীফে পাঁচ প্রকার মালের কথা বলা হয়েছে। টাকা পয়সা এই পাঁচ প্রকারের অন্তর্ভুক্ত নয়, তাই তারা যাকাত দেয়না। অাহলে হাদিস হওয়ার এটাও একটা সুবিধা যে বর্তমানে টাকা পয়সা, ব্যাংক চেকের যুগে এদের কৌশল ধরলে যাকাত স্থগিত করা যায়। বাস্তবে এভাবে যাকাত মাফ হবেই না উল্টো কঠিন শাস্তি অাছে।
অারেকটা চমত্কার ফায়দা হল অাহলে হাদিস হতে পারলে মেয়েদের সাথে অবাধ চলাফেরা করার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যায়। এদের মতে মুখ মন্ডল পর্দার অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং নারী চেহারা দেখা দোষের কিছুু নয়। এরা কত্তবড় পাগল চিন্তা করুন। মেয়েদের মুখ যদি পর্দা করতে না হয় তাহলে পুরুষ থেকে অাড়াল করবে কি ? পুরুষের চোখ থেকে কি কেবল লজ্জাস্থান ঢেকে রাখবে অার বাকি সব দেখাবে। লজ্জাস্থান ঢাকা এটা তো পুরুষের োপরও ফরজ। তাহলে অার নারীর পর্দা বলতে কি বুঝায়।
ইয়ং ছেলেমেয়েরা বিশেষ করে এইসব অাজগুবি ধার্মিকতা দেখে অাকৃষ্ঠ হচ্ছে। ধর্মকে নিজের মনমত সেটঅাপ দিচ্ছে। যুবতি মেয়ে যুবক ছেলের সাথে হাতে হাত ধরে হাঁটতে পারছে। একসময় এটা হারাম ছিল ( মাযহাবপন্থীরা এখনও হারামই জানেন) অথচ মাযহাব ত্যাগ করার বদৌলতে ইসলাম সম্মত বানিয়ে লিভ টুগেদ।ার করছে। এটাত হারাম না, এটা মুতা বিয়ে করছে। মুতা প্রথমে হালাল ছিল তারা ওই প্রথমটা ধরে বসে অাছে। হারাম হয়েছে পরবর্তীতে সুতরাং হারামের হাদিস শিখবে পরবর্তীতে। এখন যৌবন, প্রয়োজন যৌবন সহায়ক হাদিস। যখন বার্ধক্য অাসবে তখন মুতা হারামের হাদিস পড়া যাবে। দেখেছেন কি সুন্দর কৌশল। শয়তানও এদের কৌশলের কাছে হার মানতে বাধ্য। নাউযুবিল্লাহ।
এছাড়াও মাযহাব ত্যাগের অারো অনেক ফজিলত অাছে।
অাল্লাহর কাছে এরকম জাহান্নামি ফজিলত হতে অাশ্রয় প্রার্থনা করি।

No comments:

Post a Comment