মুসলিম উম্মার আলেম ও বিজ্ঞ ব্যক্তিদের দৃষ্টিতে ‘আইএসআইএস বা আইএস’এর আসল চেহারা: পর্ব-১
Source LINK -1বর্তমান সময়ে ইরাক ও সিরিয়ায় যে নতুন একটি মুজাহিদ গ্র“প আত্মপ্রকাশ করেছে, তার কার্যকলাপ নিয়ে মুসলিম বিশ্বে এক ধ্র“ম্যজাল সৃষ্টি হয়েছে। মুসলিম যুবক ও দ্বীনদার আবেগী লোকেরা এ নিয়ে চরম বিভ্রান্তিতে ভোগছে। কেউ এই গ্র“পকে কাফের-মুশরিকদের বিরুদ্ধে একমাত্র যুদ্ধকারী দল হিসাবে আখ্যা দিচ্ছে। আবার অন্যরা অন্য রকম মন্তব্য করছে। বিশেষ করে যখন তারা সিরিয়ার বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছে এবং ইরাকে তারা বেশ কিছু অঞ্চল নিজেদের করতলগত করে নিয়েছে। মুসলিম উম্মার এই জটিল পরিস্থিতে তাদেরকে সমথর্ন কিংবা বর্জন করার আগে তাদের আসল পরিচয় ও আদর্শ সম্পর্কে জানা এখন সময়ের দাবীতে পরিণত হয়েছে। খেলাফত কায়েমের মূল ভিত্তি ও উপকরণ তৈরী হওয়ার আগেই তারা যেই খেলাফতের ঘোষণা দিয়েছে, তার আরবী নাম আরব মিডিয়ায়
الدولة الإسلامية في العراق والشام বা الخلافة الإسلايمة
বলে ব্যাপক প্রচার হচ্ছে। সংক্ষেপে একে বলা হয়, داعش ‘দায়েশ’। ইংরেজী বার্তা সংস্থাগুলোতে একে Islamic State of Iraq and syria ev ISIS, ISIL, IS হিসাবে দেখানো হচ্ছে। বাংলা মিডিয়াতে এটিকে আইএসআইএল, আইএসআইএস, আইএস বলে প্রচার করা হয়।ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব মৌলিক ভিত্তি ও উপকরণের প্রয়োজন তার ১% বাস্তবায়ন না করেই এই সংগঠনটি ইসলামী খেলাফতের ঘোষণা দিয়েছে এবং কল্পিত আবু বকর আলবাগদাদী নামের একজনকে তাদের খলীফা নির্বাচন করেছে।
মুসলিম বিশ্বের বিজ্ঞ আলেম ও চিন্তাবিদগণ তাদের এই কার্যকলাপকে গ্রহণ করতে সম্পূর্ণ নারাজ। শুধু তাই নয়, তারা এদের সাথে যোগদান না করতে এবং কোন প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা না করার আহবান জানিয়েছেন। যেসব কারণে তারা এই সংগঠনের কার্যকলাপের কড়া প্রতিবাদ করেছেন, তা থেকে কয়েকটি কারণ নিম্নে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলোঃ
১) ‘তাকফীর’ তথা মুসলিমদেরকে কাফের বলা।
এই সংগঠনের লোকেরা তাদের আদর্শের বিরোধীতাকারী যে কোন মুসলিমকে কাফের মনে করে থাকে। জন মাকীনের সাথে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের মুজাহিদ গ্র“প ‘আসেফাতুস শিমাল’এর কমান্ডারের একটি ছবি প্রকাশ হওয়ার কারণেই তারা এই গ্র“পকে কাফের আখ্যা দিয়েছে। অথচ কাফের হওয়ার ব্যাপারে এই সাক্ষাৎকার ব্যতীত তারা অন্য কোন দলীল পেশ করতে পারেনি। এ কথা সুস্পষ্ট যে নবী সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম অনেক কাফেরের সাথে মিলিত হয়েছেন এবং তাদের সাক্ষৎ করেছেন। কাফেরদের সাথে সাক্ষাৎ বা লেনদেন করলেই কোন মুসলিমকে কাফের বলা চরম মূর্খতা ছাড়া অন্য কিছু নয়। সুতরাং কোন মুসিলম কোন কাফেরের সাথে মিলিত হলেই তাকে কাফের ফতোয়া দেয়া মারাত্মক অপরাধ।
২) এই সংগঠনের লোকেরা সিরিয়ার الجيش الحر ‘ফ্রিডম ফাইটার’এর সকল যোদ্ধাকে একবাক্যে কাফের মনে করে।
শুধু তাই নয়; তারা সিরিয়ার সকল অধিবাসীকেই কবর পূজারী আখ্যা দিয়ে তাদের উপর কুফুরীর ফতোয়া জারী করেছে।
৩) সিরিয়ায় যুদ্ধরত যেসব গ্র“প তাদের আদর্শের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে, তারা তাদের রক্তকে হালাল মনে করে।
তাদের এই আকীদাহএর ভিত্তিতে তারা সিরিয়ায় যুদ্ধরত একাধিক মুজাহিদকে হত্যা করেছে।
৪) তারা নিজেদের দলকে الدولة الإسلامية في العراق والشام অর্থাৎ ইরাক ও সিরয়ায় ইসলামী খেলাফত বা الخلافة الإسلامية
‘ইসলামী খেলাফত’ নাম দিলেও তাদের অধিকৃত কোন অঞ্চলে তারা স্বাধীন ইসলামী আদালত প্রতিষ্ঠার ঘোর বিরোধী। (চলবে)
----------------------------------------------------------------------------------------------------
মুসলিম উম্মার আলেম ও বিজ্ঞ ব্যক্তিদের দৃষ্টিতে ‘আইএসআইএস বা আইএস’এর আসল চেহারা: পর্ব-২
Source LINK-2
Source LINK-2
এই সংগঠন সম্পর্কে মুসিলম উম্মার আলেমদের মতামতঃ
১) শাইখ আব্দুল আযীয আল-তুরাইফী বলেনঃ এরা হচ্ছে খাওয়ারেজ।
২) শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রাহমান আলতুরাইফী বলেনঃ এরা যেহেতু তাদের এলাকায় ইসলামী কোর্ট প্রতিষ্ঠা করাকে সমর্থন করেনা, তাই তাদের দলে যোগদান করা নাজায়েয। সুতরাং যারা সিরিয়ায় জিহাদ করতে চায় তারা যেন এই দল বাদ দিয়ে অন্যান্য দলে যোগদান করে।
৩) শাইখ সুলায়মান আল উলওয়ান বলেনঃ এদের দলনেতা আবু বকর আলবাগদাদী আহলুল হাল্ল ওয়াল আক্দ (উম্মতের আলেম ও বিজ্ঞ ব্যক্তিদের) দ্বারা নির্বাচিত নয়। তার নেতা স্বয়ন আয়মান যাওয়ারী তার প্রতি সন্তুষ্ট নয়। সুতরাং কিভাবে সে অন্যদের নিকট বাইআতের দাবী করতে পারে? সুতরাং সে মুসলিম উম্মার খলীফা নয়।
৪) শাইখ ইউসুফ আল আহমাদ বলেনঃ বাগদাদীর জন্য শরঈ খেলাফত দাবী করা বৈধ নয়। আল্লাহর শরীয়ত কায়েম না করার কারণে এবং তা থেকে বিমুখ হওয়ার কারণে তার দলে যোগ দেয়া জায়েয নয়।
৫) শাইখ আব্দুল্লাহ আস্ সা’দ বলেনঃ এই দল অনেক শরীয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়েছে। (১) পারস্পরিক বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য তারা তাদের দখলকৃত এলাকায় ইসলামী আদালত প্রতিষ্ঠা করাকে সমর্থন করেনা। (২) তারা অন্যায়ভাবে মানুষকে কাফের বলে এবং তাদের জান-মালকে হালাল মনে করে। (৩) এদের মধ্যে মূর্খতার আলামত সুস্পষ্ট। শাইখ আরো বলেনঃ তাই আমি এই দলে যোগদানকারীদেরকে দল ত্যাগ করে ফিরে আসার আহবান জানাচ্ছি এবং এই দলের নেতাদেরকে আল্লাহর নিকট তাওবা করে হকের দিকে ফিরে আসার আহবান জানাচ্ছি।
৬) আবু বাসীর আত্ তারতুসী বলেনঃ আইএস আইএস একটি গোমরাহ দল। এরা সিরিয়ায় যুদ্ধরত মুজাহিদদেরকে অকাতরে হত্যা করে। মুজাহিদদের মধ্যে ফিতনা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিতে এরা খুবই পারদর্শী। তিনি আরো বলেনঃ যেসব একনিষ্ঠ দ্বীনি ভাই তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন, আমরা তাদেরকে এদের দল ছেড়ে চলে আসার দাবী জানাচ্ছি।
৭) শাইখ আদনান আল আরউর বলেনঃ এরা হাদীছের ভাষ্য মোতাবকে খারেজী অথবা বাশ্শার আল আসাদের তৈরী গুপ্তচর। এই সংগঠনের লোকেরা মোট তিন প্রকারঃ (১) এদের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু লোক যারা মুসলমানদের জান-মালের উপর আক্রমণ করে। তারা খারেজদের মত আকীদাহ পোষণ করে। (২) এদের মধ্যে রয়েছে ইসলামের শত্র“দের পক্ষের দালাল ও গুপ্তচর। এদের কর্মতৎপরতা ইহুদী-খৃষ্টান এবং ইসলামের দুশমনদের আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ দ্বারা পরিচালিত। (৩) আরেক শ্রেণীর লোক এদেরকে সঠিক মনে করে ও ভুল বুঝে জিহাদী মনোভাব নিয়েই এদের সাথে যোগ দিয়েছে। (চলবে)
------------------------------------------------------------------------------
মুসলিম উম্মার আলেম ও বিজ্ঞ ব্যক্তিদের দৃষ্টিতে ‘আইএসআইএস বা আইএস’এর আসল চেহারা: পর্ব-৩
Source LINK-3
৮) শাইখ আব্দুল আযীয আলফাওযান বলেনঃ এই দল হচ্ছে পাপিষ্ঠ খারেজী দল। ইরাক, আফগানিস্থান ও সিরিয়াতে এরা বহু রক্তপাত ঘটিয়েছে।
৯) মুহাম্মাদ আস সা’দী বলেনঃ সিরিয়ায় যুদ্ধরত মুজাহিদদেরকে খতম করার জন্যই আইএস আইএসএর উতপত্তি হয়েছে।
১০) ডঃ আব্দুল করীম আল বাক্কার বলেনঃ সিরিয়া হতে আগত বহু তালিবুল ইলম (ছাত্র) ও আলেমদের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। তাদের কাছে আইএস আইএসএর অপকর্ম ছাড়া অন্য কিছু শুনিনি। বাশ্শার আল আসাদের প্রশাসন এবং তারা এক ও অভিন্ন। তারা এবং বাশ্শার আল আসাদ একই অপরাধীর দুই চেহারা।
১১) শাইখ মুহাম্মাদ আল-মুনাজ্জিদ এই খারেজী দল সম্পর্কে বলেনঃ এরা মুসলিমদেরকে কাফের বলে এবং মুসলিমদের রক্তকে হালাল মনে করে। সতরাং যেসব মুসলিম এদের সাথে যোগদান করেছে, তাদের উচিত এদের দল ত্যাগ করা।
১২) সিরিয়ার আলেমগণ বলেনঃ এই সংগঠনটি অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা করছে এবং মানুষের সম্পদের উপর আক্রমণ করছে। এদের জিহাদ ইসলামী জিহাদ নয়; বরং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টির শামিল। সিরিয়ার আলেমদের ফতোয়া হচ্ছে এই দলে যোগ দেয়া এবং তাদের সাথে যোগ দিয়ে যুদ্ধ করা হারাম। কেননা তাদের দল ও জিহাদ অস্পষ্ট ও অন্ধকারচ্ছন্ন। তাদের নেতা অপরিচিত, তাদের অর্থের উৎস অজ্ঞাত এবং তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অস্পষ্ট।
১৩) সিরিয়ার বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের বক্তব্য হচ্ছে, এই আইএসআইএস নামক দলটি প্রথম যেদিন তার নাম ঘোষণা করেছে, সেদিন থেকেই এই দলের কার্যকলাপ সিরিয়ার নাগরিকদের উপর বহু মসীবতের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের কার্যকলাপ শুধু বাশশারের যুলুম হতে স্বাধীন এলাকাগুলোর মধ্যেই সীমিত, মানুষকে কাফের বলাতে বাড়াবাড়ি করা এবং যুদ্ধরত মুজাহিদ গ্র“পের কমান্ডারদেরকে খেয়ানতের অপবাদ দেয়া। তারা সিরিয়ার মুজাহিদ গ্র“পগুলোকে কাফের ফতোয়া দিয়েছে এবং এই অযুহাতে মুসলিমদের জান-মালকে হালাল মনে করছে যে, পথভ্রষ্ট ও দলাদলিতে লিপ্ত ফির্কাগুলোর বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করা জায়েয। তারা বাশ্শার আল আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও সংগ্রাম করতে জনগণকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং তাদের মনে ভয়-ভীতির সঞ্চার করেছে।
তাদেরকে যখন মুজাহিদগণ আল্লাহর শরীয়ত বাস্তবায়ন করার জন্য স্বাধীন অঞ্চলগুলোতে নিরপেক্ষ ইসলামী আদালত প্রতিষ্ঠা করার আহবান জানালো, তখন তারা টালবাহানা করেছে এবং তা প্রতিষ্ঠা করতে অস্বীকার করেছে। প্রায় প্রতিদিনই খবর আসছে যে, তারা কোন না কোন মুজাহিদকে বন্দি করছে অথবা হত্যা করছে। তাদের কাজগুলো প্রথম যুগের খারেজীদের কাজের মতই। তাদের কাজগুলো ঐসব খারেজীদের কর্মকান্ডের মতই, যাদেরকে হত্যা করতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আদেশ দিয়েছেন। ভিন্ন মতের লোকদেরকে কাফের বলার ক্ষেত্রে, মুসলিমদেরকে হত্যা করার ক্ষেত্রে এবং অহংকার ও তাকাব্বরী করে হক প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারে তাদের মধ্যে খারেজীদের বৈশিষ্টসমূহের সমাহার ঘটেছে। এই কারণে তাদের এবং খারেজীদের হুকুম একই। গাদ্দারী করা, খেয়ানত করা, চুক্তিভঙ্গ করা এবং আমানত নষ্ট করার ব্যাপারে তারা খারেজীদের সীমাকেও ছাড়িয়ে গেছে। (চলবে)
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আগামী পর্বে এ বিষয়ে ড: সালেহ আল সুহাইমীর পূর্ণ ভাষণ আসছে। বন্ধুদেরকে অপেক্ষায় থাকার অনুরোধ করা হলো।
-------------------------------------------------------------------------------------------
-------------------------------------------------------------------------------------------
Source LINK
মুসলিম উম্মার আলেম ও বিজ্ঞ ব্যক্তিদের দৃষ্টিতে ‘আইএসআইএস বা আইএস’এর আসল চেহারা: পর্ব-৪
( <div id="fb-root"></div> <script>(function(d, s, id) { var js, fjs = d.getElementsByTagName(s)[0]; if (d.getElementById(id)) return; js = d.createElement(s); js.id = id; js.src = "//connect.facebook.net/en_US/all.js#xfbml=1"; fjs.parentNode.insertBefore(js, fjs); }(document, 'script', 'facebook-jssdk'));</script>
<div class="fb-post" data-href="https://www.facebook.com/abdullahshahed.almadani/posts/594157507368787" data-width="466"><div class="fb-xfbml-parse-ignore"><a href="https://www.facebook.com/abdullahshahed.almadani/posts/594157507368787">Post</a> by <a href="https://www.facebook.com/abdullahshahed.almadani">Abdullah Shahed Al-madani</a>.</div></div>
)
১৪) সৌদি আরবে বিখ্যাত সালাফী আলেম আল্লামা ড: সালেহ আল সুহাইমী হাফিযাহুল্লাহ তাদের সম্পর্কে বলেনঃ এটি হচ্ছে একটি খারেজী জামাআত। তারা কয়েকদিন আগে আমার খালাতো ভাইয়ের ছেলেকে হত্যা করেছে। কারণ সে তাদের দলের বিরোধী অন্য একটি দল তথা জাবহাতুন নসুরার সদস্য ছিল। তবে উভয় দলই ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে। তাদের নাম জাবহা হোক অথবা দায়েশ হোক। কিন্তু দায়েশ জাবহার চেয়ে অধিক ভয়াবহ ও ক্ষতিকর। কারণ তারা মুমিনদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করতে পরলে আত্মীয়তার সম্পর্ক এবং কোন প্রকার অঙ্গীকার বা চুক্তির পরোয়া করেনা। তারা যে বাতিলপন্থী, তা প্রমাণিত হওয়ার জন্য এতটুকই যথেষ্ট যে, কয়েকদিন আগে তারা তাদের খলীফার হাতে বাইআত করার জন্য মুসলিমদের কাছে জোর দাবী জানিয়েছে। তাদের সাথে যারা যোগ দিয়েছে, তাদেরকে তারা সর্বপ্রথম যে কাজটি করার আদেশ দিয়েছে তা হচ্ছে নিজ দেশের আমীরের বা বাদশাহর হাতে কৃত বাইআতকে বর্জন করা। আপনারা বাইআত প্রত্যাখ্যান ও ভঙ্গ করার হুকুম অবশ্যই অবগত আছেন। আমাদের প্রত্যেকের স্কন্দে এই দেশের অলীউল আমরের (শাসকের) বাইআত রয়েছে। আপনাদের প্রত্যেকের স্কন্দে রয়েছে এই দেশের শাসকের বাইআত। বাইআত ভঙ্গ করা খেয়ানত ও গাদ্দারী। প্রত্যেক গাদ্দারের (বাইআত ও অঙ্গীকার ভঙ্গকারীর) জন্য কিয়ামতের দিন একটি করে পতাকা স্থাপন করা হবে। তাতে লেখা থাকবেঃ এটি উমুকের বাইআত ভঙ্গকারীর পতাকা। যে ব্যক্তি বাইআত ভঙ্গ করবে, সে কিয়ামতের দিন ভয়াবহ বিপদের সম্মুখনি হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
مَنْ خَرَجَ مِنَ الطَّاعَةِ وَفَارَقَ الْجَمَاعَةَ شبرا فَمَاتَ إلا مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً
“যে ব্যক্তি আমীরের আনুগত্য থেকে বের হয়ে গেল এবং মুসলিমদের জামাআত থেকে এক বিঘত পরিমাণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে মৃত্যু বরণ করল, সে জাহেলীয়াতের (কুফরীর) উপর মৃত্যু বরণ করল”। (সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং- ৪৮৯২)
فَإِنَّهُ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ قِيدَ شِبْرٍ فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الإِسْلاَمِ مِنْ عُنُقِهِ
“যে ব্যক্তি মুসলিমদের জামাআত থেকে এক বিঘত পরিমাণ বিচ্ছিন্ন হলো, সে তার গর্দান থেকে ইসলামের রশি খুলে ফেলল”। (তিরমিযী) এরা বাইআত ভঙ্গ করেছে। হক থেকে তারা বহু দূরে। তারা আলেমদেরকে কাফের বলে এবং আমাদের শাসকদেরকেও কাফের বলে। তাদের অবস্থা দেখে মনে হয়, মানুষকে কাফের বলা ছাড়া তাদের আর কোন কাজ নেই। এটিই তারা জানে এবং এটিকেই তারা তাদের দ্বীন মনে করে থাকে। পর্দার অন্তরাল থেকে কতিপয় মূর্খ লোক তাদেরকে ফতোয়া দিচ্ছে। এই ফতোয়াগুলোই তাদেরকে ধোঁকায় ফেলেছে। এই মুফতিরা দুই প্রকার। এক প্রকার মুফতী তাদের সাথেই রয়েছে। তারা এই মুফতীদেরকে মাশায়েখ হিসাবে গ্রহণ করেছে, তারা তাদের কাছ থেকেই ফতোয়া নেয়। তারা আল্লাহর কিতাবের দিকে ফিরে আসেনা এবং উলামায়ে রাব্বানীদের থেকে ফতোয়া নেয়না। এই আলেমরা ঐ দলের সদস্যদের মতই। আরেক শ্রেণীর আলেম আমাদের দেশে বসেই এদেরকে সমর্থন করে ফতোয়া দিচ্ছে, তাদেরকে সমর্থন করছে এবং যুবকদেরকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। এরা বিনা উদ্দেশ্যে এসব ফতোয়ার মাধ্যমে মুসলিম যুবকদেরকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করছে। তারা অন্ধকারচ্ছন্ন ও অস্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে যুদ্ধ করে, স্বীয় গোত্র ও দলের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করে এবং অন্ধকারচ্ছন্ন ঝান্ডার অধীনে যুদ্ধ করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
ليس مِنّا مَنْ قاتلَ تَحْتَ رَايَةٍ عمِّيَّةٍ يُقَاتِلُ لِلْعَصَبيةِ أويدعو إلى العصبية
“যে ব্যক্তি অস্পষ্ট ও অপরিচিত দলের পতাকাতলে যোগদান করে যুদ্ধ করে, স্বীয় গোত্রকে সাহায্য করার জন্য যুদ্ধ করে এবং গোত্রের সাহায্য ও স্বীয় মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করতে মানুষকে আহবান করে, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়”। (সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং- ৪৮৯২) এরা মূর্খ, জাহেল এবং এদের বয়স অল্প ও জ্ঞান খুবই সামান্য। এদের থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেনঃ আমি যদি এদের যুগ পেতাম, তাহলে আমি তাদেরকে আদ জাতির ন্যায় হত্যা করতাম। তারা যাকে হত্যা করবে, সে হবে সর্বোত্তম শহীদ। তাদের মধ্যে যারা নিহত হবে, তারা হবে আকাশের নীচে সর্বাধিক নিকৃষ্ট নিহত ব্যক্তি। তিনি আরো বলেছেন, তারা হবে জাহান্নামের কুকুর। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই লোকদের ব্যাপারে বলেনঃ
্রيَأْتِي فِي آخِرِ الزَّمَانِ قَوْمٌ حُدَثَاءُ الأسْنَانِ، سُفَهَاءُ الأحْلامِ، يَقُولُونَ مِنْ خَيْرِ قَوْلِ الْبَرِيَّةِ، يَمْرُقُونَ مِنَ الإسْلامِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، لا يُجَاوِزُ إِيمَانُهُمْ حَنَاجِرَهُمْ، فَأَيْنَمَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاقْتُلُوهُمْ، فَإِنَّ قَتْلَهُمْ أَجْرٌ لِمَنْ قَتَلَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ (بخارى:৩৬১১)
“আখেরী যামানায় এমন একদল লোক আসবে, যাদের বয়স হবে অল্প এবং জ্ঞান হবে খুবই সামান্য। তারা মানুষের সর্বোত্তম বুলি আওড়াবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা ইসলাম থেকে এমন দ্রুতগতিতে বের হয়ে যাবে, যেমভাবে তীর ধনুক থেকে বের হয়ে যায়। তাদের ঈমান তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবেনা। তাদেরকে যেখানেই পাবে সেখানেই হত্যা করবে। যে ব্যক্তি তাদেরকে হত্যা করবে, সে কিয়ামতের দিন এ হত্যাকান্ডের জন্য পুরস্কার লাভ করবে”। তিনি আরো বলেনঃ
يَخْرُجُ نَاسٌ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ وَيَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ ، ثُمَّ لاَ يَعُودُونَ فِيهِ حَتَّى يَعُودَ السَّهْمُ إِلَى فُوقِهِ
“পূর্ব দিক থেকে একদল লোক বের হবে। তারা কুরআন পড়বে, কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালীর নীচে প্রবেশ করবেনা। তীর যেমন ধনুক থেকে বের হয়ে যায়, তারা তেমনি দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবে। অতঃপর ধনুকের রশির নিকট নিক্ষিপ্ত তীর ফেরত না আসা পর্যন্ত তারা দ্বীনের মধ্যে ফিরে আসবেনা। অর্থাৎ তারা দ্বীন থেকে সম্পূর্ণরূপে বের হয়ে যাবে, তাতে আর ফেরত আসবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে জাহান্নামের কুকুর বলেছেন। তারা প্রত্যেক যুগেই বের হবে। তারা প্রত্যেক যুগেই বের হতে থাকবে। এমনকি তাদের দল থেকেই দাজ্জাল বের হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো সংবাদ দিয়েছেন যে, তোমরা তাদের নামাযের তুলনায় তোমাদের নামাযকে নগণ্য মনে করবে, তাদের এবাদতের তুলনায় তোমাদের এবাদতকে খুব সামান্য মনে করবে এবং তারা কুরআন পড়বে, কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালীর নীচে যাবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের আরো অনেক স্বভাব ও বৈশিষ্ট উল্লেখ করেছেন। তারাই ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা উছমান ও আলী (রাঃ)কে হত্যা করেছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো সংবাদ দিয়েছেন যে, তারা অমুসলিমদেরকে বাদ দিয়ে মুসলিমদেরকেই হত্যা করবে। তাদের পূর্ব পুরুষরা উছমান বিন আফ্ফান ও আলী (রাঃ)কে হত্যা করেছে। তারা যখন উছমান (রাঃ)এর দেহকে তাঁর মাথা হতে বিচ্ছিন্ন করল তখন তাদের মধ্য হতে একজন অভিশপ্ত নিকৃষ্টি লোক উছমান (রাঃ)এর পবিত্র মাথার খুলির উপর পা রেখে বলেছেঃ
والله ما عرفت يوما من أيام الله ولا يوما من أيام الجهاد أفضل من هذا اليوم
“আল্লাহর কসম! আল্লাহ তাআলার সম্মানিত দিনসমূহের মধ্য হতে এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের দিনসমূহের মধ্য হতে আমার নিকট আজকের দিনের চেয়ে অধিক ফযীলতময় অন্য কোন দিন আছে বলে আমার জানা নেই”। (নাউযুবিল্লাহ) আলী (রাঃ)এর হত্যাকারী আব্দুর রাহমান বিন মুলজিম বলেছিলঃ আলী (রাঃ)কে হত্যা করার জন্য আমি এই বর্শাটিতে নয়টি মাথা স্থাপন করেছি। তার মধ্য হতে তিনটি মাথা স্থাপন করেছি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য। আলীকে ঘৃণার সংকেত হিসাবে আমি এই নয়টি মাথা স্থাপন করেছি। এই জন্যই তার সাথী ইমরান বিন হাত্তান আলী (রাঃ)কে হত্যা করার কারণে তার প্রশংসা করে বলেছিলঃ
يا ضربة مِن تقيٍّ ما أراد بها * * * إلا ليبلغَ مِن ذِي العرش رِضواناً
إني لأذكره يوماً فأحسبُه * * * أَوفىَ البرية عند الله إنسانا
“ওহে এমন একটি আঘাত, যা করা হয়েছে আল্লাহর একজন মুক্তাকী বান্দার পক্ষ হতে। এর মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি ছাড়া সে অন্য কিছু কামনা করেনি। আমি এই দিনটিকে একটি ফযীলতময় দিন হিসাবে স্মরণ করি, যাতে আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণকারী বান্দাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি এই আঘাতটি করেছে।
এই অভিশপ্তের জবাবে পূর্ব যুগের একজন সৎ লোক বলেছেনঃ
يا ضَرَبْةٌ مِنْ شَقِيَ مَا أَرَادَ بِهَا * * * إلاَّ لِيَبْلُغَ مِنْ ذِي العَرْشِ خُسْرَانا
إني لأَذْكُرُهُ يَوْماً فَأَحْسَبُهُ * * * أَشْقَى البَرِيَّةِ عِنْدَ الله إنسانا
এটি আঘাতটি ছিল একজন হত্যভাগ্য লোকের পক্ষ হতে। সে এর মাধ্যমে আরশের মালিকের নিকট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ব্যতীত অন্য কিছু কামনা করেনি। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সর্বাধিক হতভাগ্য ও নিকৃষ্ট বলে বিবেচিত হবে।
এই পথভ্রষ্ট ও গোমরাহ লোকদের অন্যতম আলামত হচ্ছে লুকিয়ে থাকা এবং জনমানবের সামনে এসে তারা তাদের কথা প্রচার করেনা। আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রাখছি যে, আমাদের দ্বীন কি সুস্পষ্ট? না অস্পষ্ট? আমাদের দ্বীন সুস্পষ্ট। এখানে গোপনীয় কিছু নেই। আমাদের কাছে এমন কিছু নেই, যা গোপন রাখতে হবে। এই সুফিয়ান (রঃ) বলেছেনঃ
إِذَا رَأَيْتَ قَوْمًا يَتَنَاجَوْنَ فِي دِينِهِمْ دُونَ الْعَامَّةِ فَاعْلَمْ أَنَّهُمْ عَلَى تَأْسِيسِ ضَلالَةٍ
তুমি যখন দেখবে যে, একটি দল তাদের দ্বীনি বিষয়ে সাধারণ লোকদেরকে বাদ দিয়ে গোপনে শলাপরামর্শ করছে, তখন তুমি মনে করবে যে, তারা কোন একটি গোমরাহীর পথ উন্মুক্ত করছে। এই কথা সুফিয়ান ব্যতীত আরো অন্যান্য আলেম থেকেও বর্ণিত হয়েছে। আমি কয়েকদিন আগে মসজিদে নববী থেকে তাদের খলীফার দাবীদারের এবং তার হাতে মিথ্যুক দাজ্জালদের বাইআত করার প্রতিবাদ করেছি।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ইসলামের ইতিহাসে এমন কোন খলীফা কিংবা শাসকের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যিনি লুকিয়ে থেকে এবং জনসাধারণের আড়ালে থেকে রাজ্য পরিচালনা করেছেন। (চলবে)
ইন্টারনেটে শাইখের বক্তৃতার লিংকঃ LINK-Video
-----------------------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------------------
Source LINK -4
মুসলিম উম্মার আলেম ও বিজ্ঞ ব্যক্তিদের দৃষ্টিতে ‘আইএসআইএস বা আইএস’এর আসল চেহারা: শেষ পর্ব
১৬) আই এস আইএস-এর কার্যকলাপ সম্পর্কে সৌদি আরবের ৪৮জন আলেমের বিবৃতিঃ মুসলিমদের সাথে পরামর্শ না করেই কোন একটি গ্র“প কর্তৃক নিজেকে একমাত্র শরীয়ত সম্মত দল বলে ঘোষণা দেয়া এবং অন্যান্য দল ও উপদলগুলোকে সেই দলে আসতে বাধ্য করা ও অন্যান্য দল-উপদলের লোকদেরকে খারেজী হিসাবে নির্ধারণ করে তাদের জান-মালের উপর আক্রমণ করা মারাত্মক যুলুম এবং অন্যায়ভাবে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার শামিল। এটিই মুসলিমদের দলাদলি ও পারস্পরিক যুদ্ধ-বিগ্রহের মূল কারণ। যারা এখন আল্লাহর শরীয়তের সামনে নত হতে অস্বীকার করছে, সাফাবী শিয়া ও বতেনীদের নিকট থেকে সিরিয়ার সম্পূর্ণ অঞ্চল মুক্ত করার পর তারা সিরিয়াতে ইসলামী শরীয়ত বাস্তবায়ন করবে- এ কথা কিভাবে বিশ্বাস করা যেতে পারে?
সুতরাং যেই সীমা লংঘন ও বাড়াবাড়ি সিরিয়ার জিহাদকে বাধাগ্রস্ত করছে, তা থেকে আমরা সকলকে সতর্ক করছি এবং আমরা জোর দিয়ে সকল আলেম, দাঈ, বিবেকবান এবং যুদ্ধরত সকল গ্র“পের কমান্ডারদেরকে এই দায়েশের মুকাবেলা করার আহবান জানাচ্ছি।
উপসংহারঃ
উপরের সবগুলো পর্বের আলোচনা থেকে প্রমাণিত হলো যে, বিজ্ঞ আলোমদের মতে আইএস খারেজীদের একটি দল অথবা খারেজীদের মতই একটি দল। তারা গোমরাহ, সীমা লংঘনকারী, যালেম, পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী এবং লুটতরাজকারী। তারা আল্লাহর শরীয়ত মানতে ও বাস্তবায়ন করতে অস্বীকার করে। প্রকৃত পক্ষেই যারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই ও তাদেরকে হত্যা করাই হচ্ছে এদের মূল উদ্দেশ্য। এই জন্যই তাদের সাথে যোগদান করা জায়েয নয়, তাদের কাতারে শামিল হয়ে যুদ্ধ করাও নাজায়েয। যারা তাদের সাথে যোগ দিয়েছে, তাদের ফিরে আসা ওয়াজিব। এই ফির্কার নিকট বাইআত করা হারাম। সিরিয়ায় আলেমগণ এদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। শুধু তাই নয়; তারা তাদেরকে বিদ্রোহী, যালেম ও সিরিয়ায় জিহাদের পথে সবচেয়ে বড় বাধা বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং সকলকে সাধ্যানুযায়ী তাদেরকে প্রতিরোধ করার আহবান জানিয়েছেন। Source Profile LINK
No comments:
Post a Comment