Sunday, June 29, 2014

ISIS এবং আল কায়েদার মধ্যে বিরোধ চলছে অনেক দিন আগে থেকে - - - -


Anti - ISIS Post - - - - - 


Source LINK ===>>  সোহাগ আহমেদ - - - - -  ( 30/6/2014 ) 10:45 PM (Dhaka)
 
আসসলামুয়ালাইকুম,জিহাদি মানহাজের প্রত্যেক ভাই এই স্টাটাসটি ভাল করে পড়ুন।

কিছুক্ষন আগে isis সারাবিশ্ব ব্যাপি খিলাফা ডিক্লেয়ার করেন।isis আমীর আবু বকর আল বাগদাদীকে সারা বিশ্বের আমরুল মুমিনিন ঘোষণা করেন।আপাতত এটাকে খুশির খবর মনে হলেও মুসলিমদের জন্য এটা কোন খুশির সংবাদ নয়.এটি মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন ও রক্তপাতের সুত্রপাত।
isis এবং আল কায়েদার মধ্যে বিরোধ চলছে অনেক দিন আগে থেকে।আল কায়েদা আমীর শায়খ জাওয়াহিরি হাফিজুল্লাহ isis সম্পর্কে মুসলিমদের নীতি কি হবে তা আমাদের সুইস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।আমি এতদিন পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে একটি ওয়ার্ডও লেখিনি।কারন মুসলিমদের ভেতরকার দন্দ অমুসলিম এবং জিহাদ বিদ্বেষীদের হাসির কারন হবে।তাছাড়া তরুণ জিহাদিদের মনে ক্ষতের কারন হতে পারে এই আশংকায়।আমি অপেক্ষা করছিলাম হয় isis চুরান্তভাবে সীমা লংঘন করুক নয়ত শিকড়ে ফিরে আসুক।আজ সেই দিন যার জন্য আমি এতদিন অপেক্ষা করছিলাম।দুর্ভাগ্য শেষ পর্যন্ত isis আমীর আবু বকর আল বাগদাদি শেকড়ে ফিরলেন না চুরান্তভাবে সরল পথ থেকে বিচ্যুত হলেন।আমি পরবর্তী কোন নোটে এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখব সকল প্রভ সহ যাতে সকলের সংয় নিরসন হয়।আপাতত কিছু কথা প্রাথমিক ভাবে বলা প্রয়োজন এই জন্যই এই স্ট্যাটাস।
isis আমীর আবু বকর আল বাগদাদী যিনি খিলাফা ডিক্লেয়ার করলেন তিনি গ্লোবাল জিহাদের সমন্বয়কারী আল কায়েদার আমির শায়খ জাওয়াহিরি হাফিজুল্লাহ কে বায়াহ দিয়েলেন।আর আল কায়েদার বায়াহ দেয়া আছে তালেবান আমীর মোল্লা মুহাম্মাদ ওমরের (হাফিজুল্লাহ) কাছে।সেই হিসেবে গ্লোবাল জিহাদের আমীর হচ্ছেন মোল্লা মুহাম্মাদ ওমর।খিলাফা ডিক্লেয়ার করা হয় তাহলে খলিফা হওয়ার কথা মোল্লা মুহাম্মাদ ওমরের কিংবা তিনি যাকে খলিফা মননীত করেন তার।
আজ কাউকে কিছু না বলে সম্পূর্ণ নিজের ক্ষমতা বলে isis আমীর নিজেকে সারা বিশ্বের নেতা ঘোষনা করল।ইসলামে বায়াহ অস্বীকার করা বা ত্যাগ করা মুরতাদ হওয়ার সমতুল্য অপরাধ।
আর খিলাফা কোন ডিক্লেয়ার করার বিষয় নয়।খিলাফা প্রতিষ্ঠা করার বিষয়।ইরাক আর সিরিয়ার মত কিছু অঞ্চল দখল করে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠিত করলেই যদি খিলাফা হয় তাহলে সেই খিলাফা অনেক আগেই হয়ে গেছে।তালেবান ও আল কায়েদার এর চেয়ে ১৫ গুণ বেশি অঞ্চল দখল আছে এবং শরীয়া প্রতিষ্ঠিত আছে।
এই isis ইরাকে প্রভাব বিস্তার করতে ৫০০ এর অধিক জাবাত আল নুসরার (আল কায়েদার অংগ সঙ্গঠন) মুজাহিদ হত্যা করেছে এখনো করছে।
isis সাধরণ মুজাহিদদের প্রতি আমাদের কোন বিদ্বেষ নেই।মুল সমস্যা হচ্ছে ক্ষমতালোভী আবু বকর আল বাগদাদী ও তার অনুসারীদের নিয়ে।এমত অবস্তায় তরুণ জিহাদি ভাইদের প্রতি অনুরোধ খিলাফার খবর শুনে আত্মহারা হয়ে isis এর প্রচারণা করবেন না।এখানে অনেক কিছু বুঝার আছে,অনেক হিসাব নিকাশ আছে।বিস্তারিত জানার ও বুঝার চেষ্টা করুন আমাদের মানহাজের বড় ভাইদের কাছ থেকে।।
রাসুল (সঃ) এই হাদিস দিয়ে শেষ করছি,
উবাদা ইবনে সামিত (রাঃ) বর্ণিত তিনি বলেনঃ“রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)আমাদেরকে ডাকলেন এবং আমরা তাকে বাইয়াত দিলাম। তিনি তখন আমাদের থেকে যে বাইয়াত নেন, তার মধ্যে ছিল – ‘আমরা শুনবো ও মানবো, আমাদের অনুরাগে ও বিরাগে, আমাদের সংকটে ও স্বাচ্ছন্দ্যে এবং আমাদের উপর অন্যকে প্রাধান্য দিলেও যোগ্য ব্যক্তির সাথে আমরা নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল করবো না।’ তিনি বলেন, যতক্ষণ না তোমরা তার মধ্যে প্রকাশ্য কুফরী দেখতে পাবে এবং তোমাদের কাছে এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট দলীল থাকবে।’”
(মুত্তাফাকুন আলাইহি)
যে জিনিস ইসলামকে (ইসলামের ভিত্তিকে) ধবংস করে, ===>>
হজরত বিয়াদ বিন জুদায়ির (রা:) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন : একদা হজরত উমর(রা:) আমাকে বললেন, তুমি কি জান,কিসে ইসলামকে ধবংস করে? আমি বললাম না,তখন তিনি বললেন, আলিমদের পদস্খলন, মুনাফিকদের কুরআন নিয়ে বাদ-প্রতিবাদে (ঝগড়ায়) লিপ্ত হওয়া এবং গোমরাহ শাসকদের শাসন বা সর্দারদের ফয়সালা। (দারিমি, মিশকাত পৃষ্টা ৩৭)
কা’ব ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “ছাগলের পালে দুটি ক্ষুধার্ত নেকড়ে বাঘকে ছেড়ে দিলে ছাগলের যতটা ক্ষতি করে, তার চেয়ে মানুষের সম্পদ ও সম্মানের প্রতি লভ-লালসা তার দ্বীনের বেশী ক্ষতিকারক।”
[তিরমিযী ২৩৭৬, আহমাদ ১৫৩৫৭, ১৫৩৬৭]

1 comment:

  1. অনেকে আইএসআইএস কে ‪#‎খাওয়ারেজ‬ বলেছেন কেননা আইএসআইএস বর্তমানে কুফফার ছেড়ে মুসলিম হত্যায় মেতে উঠেছে। আল কায়েদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য খালিদ আস সুরি রহঃ কে তারা হত্যা করেছে এবং নুশরাহ এর অনেক কমান্ডারদের মাথা কেটে উল্লাস করেছে।
    C/O, https://www.facebook.com/iGCSE.Senior.Teacher.Kabir.Sir/posts/10152597216397650

    ReplyDelete