Source LINK Published on 31 August, 2014
বিগত দুইদিন যাবত ফেসবুকের বাতাস নুরুল ইসলাম ফারুকীর মৃত্যুতে তার আশেকদের করুন আর্তনাদে বিষাদময়। যারা ফারুকী সাহেবের বিরহে বেদনা বিধুন সময় অতিক্রম করেছেন তাদের মধ্যে আছেন দুইটা গ্রুপ-
প্রথম গ্রুপে আছেন-
(১) ফুরফুরা সিলসিলার কিছু লোক।
(২) ছারছীনা সিলসিলার সবাই।
(৩) জৌনপুরী সিলসিলার অনেকে।
দ্বিতীয় গ্রুপে আছেন-
(১) চট্টগ্রাম সুন্নী দাবিদার রেজভী গ্রুপের সকল অনুসারী।
(২) ইসলামী ফ্রন্ট।
(৩) ইসলামী ছাত্রসেনা।
(৪) মাইজভান্ডারী অনুসারী।
যারা ফেসবুকে এবং উপরের দুইটা গ্রুপের সম্পর্কে একটু খবর রাখেন তারা জানেন দুইটা গ্রুপেই দা কুমড়া সম্পর্ক। কেউ কারো নামই শুনতে পারে না। বিশেষ করে আলা হযরত দাবিদার রেজভীদের দৃষ্টিতে ফুরফুরা, ছারছীনা, জৌনপুরী, ফুলতলী এরা সবাই ওহাবী এবং কাফির। কারন রেজভীরা ফুরফুরা, ছারছীনা, জৌনপুরী সিলসিলার মূল হযরত আহমদ শহীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে ওহাবী এবং কাফির ফতোয়া দিয়ে থাকে।
অপরদিকে ফুরফুরা, জৌনপুরী, ছারছীনা সিলসিলার লোকেরাও রেজভীদের কাদিয়ানির অনুসারী বলে ফতোয়া প্রদান করে। এক কথায় কেউ কারো ছায়াও দেখতে পারেন। এদের বিভিন্ন মাহফিলে বিরোধি পক্ষকে কি ভাষায় গালাগালি করে যারা শুনেছেন তারা ভালো জানেন।
আমার বক্তব্য হচ্ছে নুরুল ইসলাম ফারুকী সাহেবর মৃত্যুর পর উভয় পক্ষই ব্যাপক অশ্রু নির্গমন করেছেন। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন ফারুকী সাব মিলাদ কিয়াম, মাযার যিয়ারত, ইত্যাদির পক্ষে কথা বলতেন তাই হয়তো উভয় পক্ষ সমর্থন করে। এ চিন্তাটা সম্পূর্ণ ভুল কারন মিলাদ কিয়াম মাযার এসবের পক্ষে উভয় পক্ষেরই অনেক আলেম কাজ করেন, এক ফারুকী সাহেব কোন বিষয়ই না। ফারুকী ছাড়াও এসব বিষয়ে কথা বলার অনেক লোক উভয় পক্ষেই আছে। তারা কিন্তু একে অপরের চোখের বালি। তবে কি কারনে ফারুকী উভয় দলেই সমাদৃত ?
আসুন আমরা সংক্ষেপে নুরুল ইসলাম ফারুকীর শিক্ষা এবং আনুষঙ্গিক কিছু বিষয় পর্যালোচনা করি-
১৯৭৯ সালে প্রাচীনতম ঐতিহাসিক সারসিনা দারুন সুন্নাত আলীয়া মাদরাসা (বরিশাল) থেকে কামিল (হাদিস বিভাগ) ডিগ্রি লাভ করেন।
এছাড়া সারসিনার পীর আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহর মাজারে দীর্ঘ সময় খেদমত করেন।"
এছাড়া ফারুকী সাহেব ছারছীন এবং সংস্লিষ্ট দের বিভিন্ন মাহফিলে সব সময়ের জন্য প্রধান অতিথি থাকেন।
দেখেন ফারুকী সাহেব ছারছীনা মাদ্রাসায় লেখা পড়া করেছেন এবং ছারছীনা পীর সাহেবের মাজারের খাদেম ছিলেন। এখন ফারুকী সাব যদি রেজভীপন্থী হন তবে ছারছীনায় তার খেদমতের বিষয়টা বেমানান। কারন কোন রেজভীপন্থী লোক মরে গেলেও ফুরফুরা ছারছীনার পীরদের মাজারে খেদমত কল্পনাও করা যায় না। তারা যাদের কাফির বলে তাদের মাজারে কি করে খেদমত করবে ? কি করে মাহফিলে প্রধান অতিথি হবে?
অপরদিকে দেখেন ফারুকী সাহেব ইসলামী ফ্রন্ট রেজভী সমর্থিত দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সভাপতি মন্ডলীর সদস্যর একজন। এবং ফ্রন্টের প্রথম কাতারের নেতা।
এই ক্ষেত্রে যদি আমরা ফারুকীকে ফুরফুরা কিংবা ছারছীনার লোক ভাবি তবে কি তার পক্ষে রেজভী মতবাদের সংগঠন প্রথম শ্রেনীর নেতা হওয়া সম্ভব ?
ছারছীনার লোককে রেজভীরা নিজেদের দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য বানাবে ?
এরচাইতে হাস্যকর চিন্তা কিছু আর কি হতে পারে ?
রেজভীরা ফুরফুরা ছারছীনার লোকদের মানুষই মনে করে না।
তবে কি করে নুরুল ইসলাম ফারুরী সাহেব দুই দলের কাছেই এত সমাদৃত নয়নের মনি ?
এ প্রশ্নটাই আমার মাথায় ঘুরছে এ কয়দিন। কেউ পোষ্টটা অন্যভাবে নিবেন না শুধু জানার জন্য এবং সমাধানের জন্য এই পোষ্টি করা হচ্ছে।
সূতরাং সকল প্রকার গালাগালি এবং প্রতিহিংসা বর্জন করে আলোচনা করুন।
বিগত দুইদিন যাবত ফেসবুকের বাতাস নুরুল ইসলাম ফারুকীর মৃত্যুতে তার আশেকদের করুন আর্তনাদে বিষাদময়। যারা ফারুকী সাহেবের বিরহে বেদনা বিধুন সময় অতিক্রম করেছেন তাদের মধ্যে আছেন দুইটা গ্রুপ-
প্রথম গ্রুপে আছেন-
(১) ফুরফুরা সিলসিলার কিছু লোক।
(২) ছারছীনা সিলসিলার সবাই।
(৩) জৌনপুরী সিলসিলার অনেকে।
দ্বিতীয় গ্রুপে আছেন-
(১) চট্টগ্রাম সুন্নী দাবিদার রেজভী গ্রুপের সকল অনুসারী।
(২) ইসলামী ফ্রন্ট।
(৩) ইসলামী ছাত্রসেনা।
(৪) মাইজভান্ডারী অনুসারী।
যারা ফেসবুকে এবং উপরের দুইটা গ্রুপের সম্পর্কে একটু খবর রাখেন তারা জানেন দুইটা গ্রুপেই দা কুমড়া সম্পর্ক। কেউ কারো নামই শুনতে পারে না। বিশেষ করে আলা হযরত দাবিদার রেজভীদের দৃষ্টিতে ফুরফুরা, ছারছীনা, জৌনপুরী, ফুলতলী এরা সবাই ওহাবী এবং কাফির। কারন রেজভীরা ফুরফুরা, ছারছীনা, জৌনপুরী সিলসিলার মূল হযরত আহমদ শহীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে ওহাবী এবং কাফির ফতোয়া দিয়ে থাকে।
অপরদিকে ফুরফুরা, জৌনপুরী, ছারছীনা সিলসিলার লোকেরাও রেজভীদের কাদিয়ানির অনুসারী বলে ফতোয়া প্রদান করে। এক কথায় কেউ কারো ছায়াও দেখতে পারেন। এদের বিভিন্ন মাহফিলে বিরোধি পক্ষকে কি ভাষায় গালাগালি করে যারা শুনেছেন তারা ভালো জানেন।
আমার বক্তব্য হচ্ছে নুরুল ইসলাম ফারুকী সাহেবর মৃত্যুর পর উভয় পক্ষই ব্যাপক অশ্রু নির্গমন করেছেন। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন ফারুকী সাব মিলাদ কিয়াম, মাযার যিয়ারত, ইত্যাদির পক্ষে কথা বলতেন তাই হয়তো উভয় পক্ষ সমর্থন করে। এ চিন্তাটা সম্পূর্ণ ভুল কারন মিলাদ কিয়াম মাযার এসবের পক্ষে উভয় পক্ষেরই অনেক আলেম কাজ করেন, এক ফারুকী সাহেব কোন বিষয়ই না। ফারুকী ছাড়াও এসব বিষয়ে কথা বলার অনেক লোক উভয় পক্ষেই আছে। তারা কিন্তু একে অপরের চোখের বালি। তবে কি কারনে ফারুকী উভয় দলেই সমাদৃত ?
আসুন আমরা সংক্ষেপে নুরুল ইসলাম ফারুকীর শিক্ষা এবং আনুষঙ্গিক কিছু বিষয় পর্যালোচনা করি-
১৯৭৯ সালে প্রাচীনতম ঐতিহাসিক সারসিনা দারুন সুন্নাত আলীয়া মাদরাসা (বরিশাল) থেকে কামিল (হাদিস বিভাগ) ডিগ্রি লাভ করেন।
এছাড়া সারসিনার পীর আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহর মাজারে দীর্ঘ সময় খেদমত করেন।"
এছাড়া ফারুকী সাহেব ছারছীন এবং সংস্লিষ্ট দের বিভিন্ন মাহফিলে সব সময়ের জন্য প্রধান অতিথি থাকেন।
দেখেন ফারুকী সাহেব ছারছীনা মাদ্রাসায় লেখা পড়া করেছেন এবং ছারছীনা পীর সাহেবের মাজারের খাদেম ছিলেন। এখন ফারুকী সাব যদি রেজভীপন্থী হন তবে ছারছীনায় তার খেদমতের বিষয়টা বেমানান। কারন কোন রেজভীপন্থী লোক মরে গেলেও ফুরফুরা ছারছীনার পীরদের মাজারে খেদমত কল্পনাও করা যায় না। তারা যাদের কাফির বলে তাদের মাজারে কি করে খেদমত করবে ? কি করে মাহফিলে প্রধান অতিথি হবে?
অপরদিকে দেখেন ফারুকী সাহেব ইসলামী ফ্রন্ট রেজভী সমর্থিত দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সভাপতি মন্ডলীর সদস্যর একজন। এবং ফ্রন্টের প্রথম কাতারের নেতা।
এই ক্ষেত্রে যদি আমরা ফারুকীকে ফুরফুরা কিংবা ছারছীনার লোক ভাবি তবে কি তার পক্ষে রেজভী মতবাদের সংগঠন প্রথম শ্রেনীর নেতা হওয়া সম্ভব ?
ছারছীনার লোককে রেজভীরা নিজেদের দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য বানাবে ?
এরচাইতে হাস্যকর চিন্তা কিছু আর কি হতে পারে ?
রেজভীরা ফুরফুরা ছারছীনার লোকদের মানুষই মনে করে না।
তবে কি করে নুরুল ইসলাম ফারুরী সাহেব দুই দলের কাছেই এত সমাদৃত নয়নের মনি ?
এ প্রশ্নটাই আমার মাথায় ঘুরছে এ কয়দিন। কেউ পোষ্টটা অন্যভাবে নিবেন না শুধু জানার জন্য এবং সমাধানের জন্য এই পোষ্টি করা হচ্ছে।
সূতরাং সকল প্রকার গালাগালি এবং প্রতিহিংসা বর্জন করে আলোচনা করুন।
No comments:
Post a Comment